
খন্দকার মোহাম্মাদ আলী ,সিরাজগঞ্জ :
শুস্ক মৌসুমে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও কামারখন্দ উপজেলার ফুলজোড় নদীতে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে আবাদি জমি বসতবাড়ি। ভাঙ্গন আতংকে রয়েছে নদী পাড়ের মানুষ। অনেকে ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।
স্থানীয়রা লাইভ নিউজ বিডিকে জানান, বর্ষা মৌসুমে নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে শুস্ক মৌসুমেও নদীতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের ফুলজোড় নদীর তিয়রহাটি, আমডাঙ্গা ও নূর নগর ও কামারখন্দ উপজেলার ধামকৈল গ্রামে হঠাৎ ভাঙ্গন শুরু হয়।
ভাঙ্গনে বসতভিটা ও বেশ কয়েক বিঘা কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। পানি কমার সাথে সাথে ভাঙ্গনের তীব্রতা আরও বাড়তে শুরু করেছে। শতাধিক পরিবার তাদের ঘর-বাড়ী অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। ভাঙ্গন আতংকে দিন কাটছে এ অঞ্চলের দরিদ্র কৃষিজীবি মানুষগুলোর।
নির্বাচনের আগে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা নদী ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিলেও নির্বাচনের পরে তা আর বাস্তবায়ন হয় না।
তবে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা যায়, ভাঙ্গন রোধে ফুলজোড় নদী খনন ও নদীর সিরাজগঞ্জের ২৩ টি পয়েন্টে নদী তীর সংরক্ষন কাজ হবে। ইতিমধ্যে একনেকে প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সিংক (সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড ) নির্বাহী প্রকৌশলী, আরিফুল ইসলাম লাইভ নিউজ বিডিকে বলেন, ফুলজোড় নদী এটা উজানের গাইবান্ধা থেকে এসেছে। ২১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুমতি ক্রমে এটা একটা প্রকল্প হিসেবে অনুমোদন হয়েছে। এটা প্রায় ২৩শ কোটি টাকার প্রকল্প। যেখানে ২১৭ কিলোমিটার নদী পুনখনন হবে। সিরাজগঞ্জের ২৩ টি পয়েন্টে ১৫.৯ কিলোমিটার এলাকায় নদী তীর সংরক্ষন কাজ হবে। ভাঙ্গন কবলিত পয়েন্টে নদী তীর সংরক্ষন কাজ হবে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এই কাজ কাস্তবায়ন হবে। এটি বাস্তাবায়ন হলে এই এলাকাগুলোতে নদী ভাঙ্গ থাকবে না।