সাংবাদিক পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা,বাচ্চু গং দের ক্ষমতার উৎস কোথায় ? জেলার খবর দূরনীতি ও অপরাধ নারী ও শিশু প্রচ্ছদ জানুয়ারি ২৬, ২০১৯জানুয়ারি ২৯, ২০১৯0 নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ “দৈনিক সন্ধ্যাবাণী” পত্রিকার সাংবাদিক নাজমুল ইসলামের পরিবারের সাথে প্রতি বেশি বাচ্চু গংদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন যাবৎ । এরি জের দরে গত ২২-১২-২০১৮ ইং শনিবার সকাল ৮-৩০ মিনিটে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামে সাংবাদিক নাজমুল ইসলামের বাড়িতে এসে অতর্কিত হামলা চালান বাচ্চু সহ সন্ত্রাসীরা। এঘটনায় শ্রীপুর থানায় মামলা হবার ১ মাসে ও গ্রেফতার হয়নি কোন আসামি । বর্তমানে চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছেন এ সাংবাদিক পরিবারটি । বর্তমানে ঘটনার ১(এক) মাস পার হলে ও কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি বরং সন্ত্রাসীরা মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে নাজমুলের পরিবার কে । শ্রীপুর থানার মামলা নং ৫৯/৮৬৬, মামলার বাদী সাংবাদিকদের যানান, মামলার ১(এক) ও ২(দুই) নং বিবাদী পলাতক রয়েছে ,বাকি আসামিরা কোর্ট হতে জামিনে এসে আমাদের স্বেচ্ছায় মামলা প্রত্যাহার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভয় ভীতি ও হুমকি প্রদান করে আসছেন। তাছাড়া ১(এক) ও ২(দুই) নং বিবাদী পলাতক থেকে বিভিন্ন নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে ভয়- ভীতি ও হুমকি প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা হলো- মোছাঃ নাছিমা (৪২),মোছাঃ রিক্তা বেগম (২৫), মোছাঃ অযুফা (৬০), মোঃ মজনু (৩০) । মামলা থেকে জানা যায়, উক্ত জমিতে বসত বাড়ী আছে, বাড়িটি ঝরাঝির্ন হওয়ায় তারা নতুন বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করেন ,কিন্তু বাচ্চু বসত বাড়ীটি নিজের দাবি করেন এবং পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক সাংবাদিক পরিবারে উপর সন্রাসী হামলা চালান । হামলা কারিরা হলেন, মোঃ বাচ্চু মিয়া(৪০), আব্দুর রশিদ(৪২) ও মজিবর রহমান(৪৭) সর্ব পিতা মৃত ছিরফত আলি। মোঃ লিখন মিয়া(১৯) ও আব্দুল কাদির(১৮) মোসাম্মৎ তাসলিমা আক্তার(৩৫),তাছলিমা ২ (৩৮),জনু মিয়া (৬০) সহ আরও একাদিক লোক নিয়ে গত ২২-১২-২০১৮ ইং সকাল ৮-৩০ মিঃ নাজমুলের বাড়ির বিতরে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় । এ সময় তাদের হাতে করে রাম দা,লোহার রড,দা,লোহার বেলচা নিয়ে প্রবেশ করিয়া মোছা: নাছিমা আক্তা্রের উপর হামলা চালায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এবং লাঠি দিয়ে রড দিয়ে এলোপাতারি আগাত করে,এক সময় মাথায় রাম দা দিয়ে আঘাত করলে মাথা কেটে তাজা রক্তাক্ত জখম হয় এবং শরিরে নিলা ফুলা জখম হয় ।ঘটনা দেখে মজনু মিয়ার স্ত্রী মোসাম্মৎ রিক্তা আক্তার রুম থেকে বের হলে তাকে মাথায় দা দিয়ে কোপ দিলে মাথা কেটে যায়। রিক্তার চিৎকার শুনে মজনু মিয়া ঘর থেকে বের হলে তাকে লোহার রড,বেলচা দিয়ে আগাত করে পায়ের গুরালির নিচে হাড় বাঙ্গা তাজা রক্তাক্ত জখম করে ফেলে দেয়। ছেলের এমন অবস্থা দেখে তার বৃদ্ধ মা অজুফা বেগম ছুটে আসায় বৃদ্ধ মহিলাটি কেও লোহার রড ও লাঠি দিয়ে আগাত করে গুরুতর জখম করে হাটুর নিচে বেঙ্গে যায়। তাদের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ঘটনা স্হলে ছুটে আসে এবং তাদেরকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। মামলা সুত্রে জানা যায়, এ ফাঁকে সুযোগ পেয়ে মোঃ বাচ্চু মিয়া, আব্দুর রশিদ, লিখন, কাদির ও তাসলিমা আক্তার বাড়ি ফাঁকা পেয়ে তাদের ঘর নির্মান করার প্রায় ২০ হাজার টাকা এবং ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন নিয়ে পালিয়ে যায়।প্রথমে শ্রীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলেও পরবর্তীতে রুগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।বর্তমানে আহতরা সবাই নিজ বাড়িতে রয়েছে,মামলার বাদী নাজমুল আক্ষেপ করে সাংবাদিকদের বলেন, আমার মা,চাচা,চাচি ও দাদি সংকটাপন্য অবস্থায় রয়েছে।আমাদের পক্ষে বর্তমানে রুগীদের চিকিৎসা খরচ চালানো দু:সাধ্য হয়ে পরেছে। তাই আমি ২৩-০১-২০১৯ ইং তারিখ সকাল ১০ ঘটিকার সময় আর্থিক প্রয়োজনে আমার বাড়ির উত্তর পাশে আমার মালিকানাধীন জমি হতে গাছ কাটতে গেলে উক্ত বিবাদীগণ জমির পাশে এসে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমি কোর্ট হতে মামলা তুলে নেওয়ার আগ পর্যন্ত বিবাদী গণ আমাকে গাছ কাটতে দিবেনা বা আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে কোন প্রকার কাজ কর্ম করতে দিবেনা।বিবাদীদের হুমকির কারনে আমি গাছ কাটতে পারিনাই।তাছাড়া বিবাদীগণ সুযোগ বুঝে মারপিটসহ খুন জখম করবে বলে হুমকি প্রদান করেন।সাংবাদিকরা বিবাদী বাচ্চু মিয়া ও মজিবর রহমান এর ফোনে একাধিক বার ফোন করেও কোন সারা পায়নি।এলাকার গন্যমান্য লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, উক্ত জমির মালিক বাদী পক্ষ। তারা একাদিক বার গ্রাম্য শালিশ করেও বিবাদীদের কাছ থেকে কোন ফল পায় নি,বিবাদীগন এক দরনের সন্ত্রাসী ও ভূমি দস্যু বটে।তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী ।অত্র ওয়ার্ড মেম্বার আশরাফুল হোসেন জানান, মারপিট ও গাছ কাটতে বাদা দেওয়ার ঘটনা সম্পর্কে বাদী পক্ষ আমাকে জানিয়েছে, এ বিষয়টি আমি অবহিত আছি।পরবর্তিতে মামলার বাদী নাজমুল ইসলাম শ্রীপুর থানায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে একটি জি.ডি দায়ের করেন এবং পলাতক বিবাদীদের আইনের আওতায় এনে শ্বাস্তির দাবি জানান এবং আইনি সহযোগিতা চান। {চলবে } Related Share on Facebook Share 0 Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share 0 Share on LinkedIn Share Share on Digg Share Print Print 0 Total Shares করোনা ভাইরাস সম্পর্কে যেকোনো পরামর্শ বা উপদেশের জন্য উল্লেখিত হটলাইনে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে : ৩৩৩, ০১৯৪৪৩৩৩২২২, ০১৪০১১৮৪৫৫১; ০১৪০১১৮৪৫৫৪; ০১৪০১১৮৪৫৫৫; ০১৪০১১৮৪৫৫৬; ০১৪০১১৮৪৫৫৯; ০১৪০১১৮৪৫৬০; ০১৪০১১৮৪৫৬৮; ০১৯২৭৭১১৭৮৫; ০১৯৩৭০০০০১১; ০১৯২৭৭১১৭৮৪ এবং ০১৯৩৭১০০১১।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বর হচ্ছে-১৬২৬৩।এ ছাড়া ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ই-মেইল বার্তা পাঠানো যাবে। ফেসবুক আইডি: Iedcr, COVID-19 Control Room, e-mail : iedcrcovid19@gmail.com