রাজস্ব আয় ও রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বাড়লেও কমেছে প্রবাসী আয় অর্থনীতি জাতীয় প্রচ্ছদ সারা বাংলা মে ৮, ২০১৭0 নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর) মুদ্রাস্ফীতি কমেছে, লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। রাজস্ব আদায়, রপ্তানি প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পেলেও একই সময়ে আমদানী ব্যয়, প্রবাসী আয় কমেছে। বাণিজ্যের ভারসাম্যের ঘাটতি রয়েছে ঋণাত্মক। অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির প্রভাবে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি আর প্রবাস আয় প্রবাহের দুর্বলতা চলতি হিসাবে ঘাটতি সৃষ্টিতে ভূমিকা পালন করছে। তবে মূলধনী হিসাব ও আর্থিক হিসাবে উল্লেখযোগ্য উদ্বৃত্ত থাকায় সার্বিক লেনদেন ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত ছিল। আজ সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ‘বাজেট ২০১৬-১৭ দ্বিতীয় প্রান্তিক (জুলাই-ডিসেম্বর) পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও আয়-ব্যয়ের গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এসব জানানো হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের অনুপস্থিতিতে তাঁর পক্ষে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। এম এ মান্নান বলেন, সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান দেশে যে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অর্থনীতি তার সরাসরি সুফল ভোগ করছে। ওই প্রতিবেদনে উন্নয়নের মহাআয়োজনে সকলের কার্যকর অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিপুল জনসংখ্যার বিপরীতে সীমিত সম্পদ এবং নানা অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক বৈরী পরিস্থিতি সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর কার্যকর ও গতিশীল নেতৃত্বে সব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে বাংলাদেশ নিজেকে আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক চলকসমূহের অবস্থান সন্তোষজনক। ধারাবাহিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলস্বরূপ বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের বৈশ্বিক রোলমডেল। উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশের যে গতিশীল যাত্রা, তাতে চলতি অর্থবছর (২০১৬-১৭) একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্ব আর দেশের মানুষের নিরন্তর প্রচেষ্টায় অচিরেই টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণ করে আমরা পাব ‘শান্তিপূর্ণ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’। আর এতেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আমরা প্রতিষ্ঠিত করবোই। প্রতিমন্ত্রী প্রতিবেদনে আরো বলেন, বছরের প্রথমার্ধে ত্বরান্বিত হয়েছে অর্থনীতির চাকা এবং স্থিতিশীল রয়েছে সামষ্টিক অর্থনীতির সকল খাত প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণতায় সকল দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে দেশে বর্তমানে যে স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি সরাসরি তার সুফল ভোগ করে চলেছে। বিদ্যুৎ-জ্বালানী, যোগাযোগসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সৃষ্টি হচ্ছে বিনিযোগ সহায়ক পরিবেশ। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের বাজেট বাস্তবায়ন অগ্রগতির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে থাকায় জনজীবনে স্বস্তি নেমে এসেছে। গত অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ শতাংশ; অর্থবছরশেষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ১১ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা হলো ৭ দশমিক ২ শতাংশ। এ সময়ে গত বছরের তুলনায় রাজস্ব আদায় ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, সরকারি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে সাড়ে ২৪ শতাংশ। রফতানি আয় বিগত অর্থবছরের প্রথমার্ধের ১৬ হাজার ৮৪ মিলিয়ন ডলার হতে বেড়ে ১৬ হাজার ৭৯৮ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। আমদানি ব্যয় ৮ দশমিক ১৮ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২২ দশমিক ৬ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ১৫ থেকে ৫ দশমিক ০৩ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থ প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উর্ধ্বমূখী থাকায় ভোগ ও বিনিয়োগের বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে আমদানির চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিগত অর্থবছরের সময়ের তুলনায় আমদানি ব্যয় ৮ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশী। উল্লেখযোগ্য পরিমাণে প্রবাস নিয়োগ হলেও প্রবাস আয়ে গতিশীলতা আসেনি। এ সময়ে প্রবাস আয়ের প্রবাহ ১৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ কমেছে। এছাড়া বাণিজ্যিক ভারসাম্যে ঘাটতি বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি হিসাবের ভারসাম্য ঋণাত্মক ছিল। এই সময়ে চলতি হিসাবের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। একদিকে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির প্রভাবে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি, অন্যদিকে প্রবাস আয় প্রবাহের দুর্বলতা চলতি হিসাবে ঘাটতি সৃষ্টিতে ভুমিকা পালন করেছে। আশা করা যায়, মুদ্রা বিনিময় হারের এ স্থিতিশীলতা দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে ও বিনিযোগে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। Related Share on Facebook Share 0 Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share 0 Share on LinkedIn Share Share on Digg Share Print Print 0 Total Shares করোনা ভাইরাস সম্পর্কে যেকোনো পরামর্শ বা উপদেশের জন্য উল্লেখিত হটলাইনে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে : ৩৩৩, ০১৯৪৪৩৩৩২২২, ০১৪০১১৮৪৫৫১; ০১৪০১১৮৪৫৫৪; ০১৪০১১৮৪৫৫৫; ০১৪০১১৮৪৫৫৬; ০১৪০১১৮৪৫৫৯; ০১৪০১১৮৪৫৬০; ০১৪০১১৮৪৫৬৮; ০১৯২৭৭১১৭৮৫; ০১৯৩৭০০০০১১; ০১৯২৭৭১১৭৮৪ এবং ০১৯৩৭১০০১১।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বর হচ্ছে-১৬২৬৩।এ ছাড়া ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ই-মেইল বার্তা পাঠানো যাবে। ফেসবুক আইডি: Iedcr, COVID-19 Control Room, e-mail : iedcrcovid19@gmail.com