মেয়র জাহাঙ্গীরের উপহারে হাসি ফুটছে ২ লাখ পরিবারে প্রচ্ছদ প্রাকৃতিক দূর্যোগ রাজনীতি মে ১, ২০২০মে ১, ২০২০0 বিশেষ প্রতিনিধি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ‘অবরুদ্ধ’ হয়ে পড়া অভুক্ত ও অসহায় মানুষের দুয়ারে দুয়ারে হাজির হচ্ছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম। চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী উপহার দিয়ে দুর্যোগের মধ্যে হাসি ফোটাচ্ছেন হতদরিদ্রদের মুখে। মেয়রের উদ্যোগে এই খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে গাজীপুরের দুই লাখ পরিবারে। ইতোমধ্যে ৮০ হাজার পরিবার এ সহায়তা পেয়েছে। এ কর্মসূচি চলমান রয়েছে। জানা গেছে, সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডের খুব কম এলাকা রয়েছে, যেখানে মেয়রের পা পড়েনি। রাত-বিরাত নেই, খবর পেলেই খাবার নিয়ে ছুটছেন মেয়র জাহাঙ্গীর। এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্তে খাদ্য বিলিয়ে যাচ্ছেন এই মানবদরদী। বিরামহীন ছুটে চলা মানুষটি এখন গরীব-দুঃখীর পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন। করোনা ক্রান্তিকালে মানবিকতার পরিচয় দিয়ে বেশ প্রশংসা কুড়াচ্ছেন। জনগণের কাছে হয়ে উঠেছেন মানবিক মেয়র। কভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে গাজীপুরকে লকডাউন করা হয় ১১ এপ্রিল। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পর গাজীপুরকে করোনার উপকেন্দ্র ঘোষণা করে সরকার। এতে গৃহবন্দী হয়ে চরম মানবেতর অবস্থা সৃষ্টি হয় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারে। এ অবস্থায় প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসেন মেয়র। সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, মেয়রের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ইতোমধ্যে ৮০ হাজার পরিবারে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আরও এক লাখ পরিবারে খাদ্য সহায়তা পৌঁছানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ ছাড়া ওএমএসের কার্ড দেওয়া হচ্ছে ২২ হাজার পরিবারে। শিগগিরই প্রত্যেকের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী কাউকে যেন খাবারের অভাবে কষ্ট করতে না হয়, সে বিবেচনা বোধ থেকে গাজীপুরের মেয়র এ উদ্যোগ নেন। সূত্র আরও জানায়, খাদ্য সহায়তা সুষ্ঠুভাবে বণ্টনের সুবিধার্থে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। সমগ্র গাজীপুরবাসীকে নিরাপদে রাখতে সার্বক্ষণিক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছেন মেয়র। এ প্রসঙ্গে মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষের প্রয়োজনে এগিয়ে আসাই আসল মনুষ্যত্ব। আমি চাই শহরের একজন মানুষও খাবারের অভাবে কষ্ট না করুক। একেবারে মানবিক বিবেচনা বোধ থেকে এই পদক্ষেপ। এ ক্ষেত্রে দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিককে সমান দৃষ্টিভঙ্গিতে বিবেচনা করা হচ্ছে। কেউ যাতে খাবারের কষ্ট না করে সেটি আমার প্রথম লক্ষ্য। অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা রাস্তায় নামতে পারেন না, তাদের ঘরেও খাবার পৌঁছে দিচ্ছি। প্রাথমিক পর্যায়ে দুই লাখ পরিবারে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার তালিকা করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় পর্যায়ক্রমে এ তৎপরতা আরও বাড়ানো হবে।’ তিনি আরও জানান, শুধু খাবারের নিশ্চয়তা না, স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়েও তিনি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। বিশেষ করে গাজীপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্সসহ সব স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য উন্নতমানের পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস, গগলস সরবরাহ করেছেন। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি জোরদার করা হয়েছে। বেশ আগে থেকেই সতর্ক অবস্থায় ছিলেন জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমরা খুবই সচেতন ও সতর্ক ছিলাম। কিন্তু বহিরাগত কিছু সমস্যার কারণে হঠাৎ এখানে করোনা শনাক্ত শুরু হয়। বিশেষ করে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের কারণে তালগোল পেকে যায়। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী সবাইকে সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবো।’ অন্যদিকে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই সম্ভাব্য ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে ভাবছেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। গাজীপুরকে ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে রক্ষার লক্ষ্যে জাপান থেকে উন্নতমানের ফগার মেশিনসহ কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রী আমদানির উদ্যোগ নিয়েছেন। এ ছাড়া বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান পদক্ষেপগুলো অব্যাহত রয়েছে। Related Share on Facebook Share 0 Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share 0 Share on LinkedIn Share Share on Digg Share Print Print 0 Total Shares করোনা ভাইরাস সম্পর্কে যেকোনো পরামর্শ বা উপদেশের জন্য উল্লেখিত হটলাইনে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে : ৩৩৩, ০১৯৪৪৩৩৩২২২, ০১৪০১১৮৪৫৫১; ০১৪০১১৮৪৫৫৪; ০১৪০১১৮৪৫৫৫; ০১৪০১১৮৪৫৫৬; ০১৪০১১৮৪৫৫৯; ০১৪০১১৮৪৫৬০; ০১৪০১১৮৪৫৬৮; ০১৯২৭৭১১৭৮৫; ০১৯৩৭০০০০১১; ০১৯২৭৭১১৭৮৪ এবং ০১৯৩৭১০০১১।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বর হচ্ছে-১৬২৬৩।এ ছাড়া ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ই-মেইল বার্তা পাঠানো যাবে। ফেসবুক আইডি: Iedcr, COVID-19 Control Room, e-mail : iedcrcovid19@gmail.com