ইমন খানঃ

গাজীপুরে অসহায় ও হত দরিদ্র মানুষের জন্য সরকারি খাদ্য সামগ্রী এসেছে টনে টন। প্রতিদিন বিলি হচ্ছে একযোগে,এতে বাদ পড়ছে না নিম্নমধ্যবৃত্তরা। কিন্তু যারা প্রশাসনের পাশা পাশি নিজের জীবন বাজি রেখে সমাজ ও দেশের ১৮ কোটি মানুষের মাঝে আলোচনায় আসেন তাদের কথা হয়ত চিন্তা করেন না,বিত্তশালী ও জনপ্রতিনিধিরা। তাদের অনেকের বেতন ভাতা নাই বললেও চলে। নিজেদের ঘর ও সংসারের মায়া ত্যাগ করা মানুষগুলোর কথা ভাবলেন গাজীপুরের মানবিক মেয়র আলহাজ্ব এ্যাডঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
গাজীপুরের সকল সাংবাদিকদের ডেকে এনে নিজস্ব অর্থায়নে একটি করে নগদ অর্থের খাম ও ৩০/৩৫ কেজি ওজনের বস্তা। বস্তাগুলো নিজ হাতে মিডিয়া কর্মীদের হাতে তুলে দিলেন এই মেয়র। সকাল ১০ টা থেকে শুরু করে গাজীপুর প্রেসক্লাব,গাজীপুর জেলা প্রেসক্লাব,জেলা রির্পোটাস ক্লাব,সিটি ক্লাব,মহানগর ক্লাব,টংগী প্রেসক্লাব,টংগী থানা প্রেসক্লাব,টংগী সাংবাদিক ক্লাব সহ প্রায় ৫ শতাধিক সাংবাদিকদের হাতে এই সরঞ্জাম তুলে দেন।

খাবারের মেনুগুলো চাল,ডাল,আলু,পেয়াজ,চিনি সেমাই ও তেল সামগ্রী।
গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাজহারুল ইসলাম মাসুম বলেন,একটি ব্যতিক্রম আয়োজন করলেন মেয়র সাহেব,এই দূর্যোগ মুহুর্তে তিনি সাংবাদিকদের পাশে দাড়িয়ে মানবতার পরিচয় দিলেন। টংগীর বয়োজ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজ উদ্দিন বলেন,মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সব সময় মিডিয়াদের কদর করেন,তারপ্রতি চির কৃতজ্ঞ। তার মত জনপ্রতিনিধি প্রতিটি এলাকায় থাকা উচিত।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে করোনা ও ঈদ কে সামনে রেখে খাদ্য ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ এবং জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সম্পন্ন নিজস্ব অর্থায়নে মেয়র এতবড় উপহার দিলেন এটা এক ধরনের মহানুভবতা।
গাজীপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক জানে আলমের চিকিৎসার জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা দিলেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রিপন শাহ বলেন,আমরা মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ভাইয়ের কাছে যে কোন সমস্যার কথা বললে ওনি তাৎক্ষণিক সমাধান করার চেষ্টা করেন। সকল সময় আমরা মিডিয়ার মানুষ বলে তাকে অাখ্যায়িত করি।
প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ মজিবুর রহমান বলেন,মেয়র সাংবাদিকদের প্রয়োজনে সব সময় কাজ করেন। আজও তার কাছে গাজীপুরের সকল সাংবাদিকদের জন্য যে প্রস্তাব রেখেছি, তা তিনি পালন করেছেন। আশা করি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের এই মহতি উদ্যোগ সব সময় থাকবে।