বরিশালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ঝুঁকিতে ফসলি জমি-বাড়িঘর জেলার খবর প্রচ্ছদ জুন ৩, ২০১৭0 স্টাফ রিপোর্টারঃ বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার খয়রাবাদ নদীর ৫৬নম্বর উত্তর নারাঙ্গুল মৌজা থেকে ড্রেজার দিয়ে প্রতিনিয়িত অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। বালু ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট টোকেন দিয়ে অবৈধভাবে দিনের পর দিন বালু উত্তোলন করলেও প্রশাসন একেবারেই নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ। অবৈধভাবে নির্বিচারে বালু উত্তোলনের ফলে একদিকে বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, অপরদিকে খয়রাবাদ নদীর দুই পাড় ক্রমাগত ভেঙ্গে যাচ্ছে। এতে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাকেরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত খয়রাবাদ নদীতে দীর্ঘদিন ধরে মেসার্স অন্যা এন্টারপ্রাইজ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। তারা কলসকাঠী ইউনিয়নের ৫৬নম্বর উত্তর নারাঙ্গুল মৌজার ৪১৯ নম্বর দাগ ইজারা নিলেও ওই দাগ বাদ দিয়ে ৪১৮নম্বর দাগ ও এর আশে-পাশের দাগ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। উপজেলার নদী তীরবর্তী নিচু এলাকা ভরাটের চাহিদা মিটিয়ে তারা বিভিন্ন এলাকায় বালু সরবরাহ করছে। অবৈধভাব বালু উত্তোলনের ফলে নদী তীরবর্তী কৃষকদের ফসলি জমি এবং নদীর দুই তীরের বাসিন্দারা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালীদের মদদে একটি সিন্ডিকেট উপজেলা প্রশাসনকে মোটা অংকের কমিশন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। অন্যা এন্টারপ্রাইজের ড্রেজারের লোড গণনার কাজে নিয়োজিত শ্রমিক শাহাবুদ্দিন মল্লিক স্থানীয় সাংবাদিকদের তার কাছে থাকা ডুপ্লিকেট কার্বন রশিদের ফটোকপি দেখিয়ে বলেন, উত্তর নারাঙ্গুল খয়রাবাদ নদীর ৪১৯ ও ৪১৮ দাগ তাদের নামে লিজ রয়েছে। তবে কাগজপত্র ঘেটে দেখা গেছে, ৪১৮নম্বর দাগ লিজের আওতাভুক্ত নয়। স্থানীয় কৃষকরা জানান, নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় বসতি স্থাপন করে তারা কোন রকম জীবনযাপন করছেন। এভাবে খয়রাবাদ নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হলে নদীর পাড় ভেঙে তাদের বসতি হুমকিতে পড়বে। এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জয়নুল আবেদীনের ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। Related Share on Facebook Share 0 Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share 0 Share on LinkedIn Share Share on Digg Share Print Print 0 Total Shares করোনা ভাইরাস সম্পর্কে যেকোনো পরামর্শ বা উপদেশের জন্য উল্লেখিত হটলাইনে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে : ৩৩৩, ০১৯৪৪৩৩৩২২২, ০১৪০১১৮৪৫৫১; ০১৪০১১৮৪৫৫৪; ০১৪০১১৮৪৫৫৫; ০১৪০১১৮৪৫৫৬; ০১৪০১১৮৪৫৫৯; ০১৪০১১৮৪৫৬০; ০১৪০১১৮৪৫৬৮; ০১৯২৭৭১১৭৮৫; ০১৯৩৭০০০০১১; ০১৯২৭৭১১৭৮৪ এবং ০১৯৩৭১০০১১।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বর হচ্ছে-১৬২৬৩।এ ছাড়া ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ই-মেইল বার্তা পাঠানো যাবে। ফেসবুক আইডি: Iedcr, COVID-19 Control Room, e-mail : iedcrcovid19@gmail.com