ফুটপাতের বিক্রেতা থেকে কোটিপতি দৌড়মোস্তফা কামাল জেলার খবর দূরনীতি ও অপরাধ জুন ১৮, ২০২১জুন ১৮, ২০২১0 টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুর মহানগরের ৩৫ নং ওয়ার্ড কলমেশ্বর গ্রামের মৃত ওয়াজ খানের দুই ছেলে বোর্ডবাজার এলাকার একসময় পিতার সাথে ফুটপাতে বই বিক্রয় করতেন। ছোটবেলা থেকেই তার দুই ছেলের মধ্যে ছোট ছেলে মোস্তফা কামাল অতি দুরন্ত ও ধান্দাবাজ স্বভাবের ছেলে। এলাকাবাসী ও বিভিন্ন মাধ্যমে সরেজমিনে কথা বলে জানা যায় বেশ কিছুদিন আগেও মৃত ওয়াজ খানের পরিবার ছিল অত্যন্ত হতদরিদ্র। একাধিক ছেলেমেয়ে ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে মোস্তফা কামাল খানের বাবা ওয়াজ খান যখন নানা টানাপোড়েন এর ভিতর দিয়ে তার সংসার চালাচ্ছিলেন তখন সে অবস্থা ছিল খুবই করণ। সংসারের টানাপোড়েনে তিনি এক প্রকার হাঁপিয়ে উঠেছিলেন। নিঃস্ব অসহায় ওয়াজ খান আর কোন উপায় না দেখে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে অর্থাৎ আজকের নেতা মোস্তফা কামাল খানের মামার বাড়ি থেকে তার মায়ের প্রাপ্য ওয়ারিশ আনতে বাধ্য হন। মামার বাডীর ওয়ারিশ পেয়ে তারা প্রথমে বোর্ডবাজারে একটি অবৈধ আইসক্রিম ফ্যাক্টরি স্থাপন করেন। সুতরাং ফুটপাতের বই বিক্রেতা থেকে হয়ে যান আইসক্রিম ফ্যাক্টরি মালিক। কিন্তু এখানেই গল্পের শেষ নয়,ফুটপাতে বইয়ের দোকান কিংবা আইসক্রিম ফ্যাক্টরি দেওয়া এগুলো তাদের বাপ ছেলেদের প্রথম বাটপারির শুরো। একদিকে যেমন সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে নোংরা পরিবেশে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন রং মিশ্রণের আইসক্রিম ও বরফ তৈরি করে সেগুলো বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন । অন্যদিকে বই কোম্পানির মূল্য তালিকা উঠিয়ে তারা নিজেরা সেখানে মূল্য তালিকা লাগিয়ে সে বইগুলো চড়া দামে শিক্ষাথর্ীদের কাছে বিক্রি করে তারা প্রতারণা করে আসছে।গাজীপুর প্রস্তুক প্রকাশনী মালিক সমিতি অবৈধ নকল বই বিক্রি করার দায়ে (ই আর ই লাইব্রেরি,বোর্ডবাজার)তাদেরকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।তারা বাপ-ছেলে তিনজনে তিন দল করনে বর্তমানে দুই ভাই দুই দল করেন । অর্থাৎ যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সেই দল থেকে তারা পুরোপুরি সুবিধা নেয় এবং নিজেদের আখের গোছাগোটায় । এক সময়ে যে মোস্তফা কামাল খানের পরিবার দুবেলা-দুমুঠো ভাত খেতে পারত না । সরকারি দল কিংবা মহানগরের নামিদামি নেতাদের ব্যবহার করে তারা এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজারে তাদের নিজস্ব বাড়ি থাকলেও সেখানে না থেকে বিলাস বহুল জীবনযাপন এর জন্য উত্তরাতে মাসিক ৪০ হাজার টাকা ভাড়া বাসায় তারা বসবাস করছেন। চলাচল করছেন নিজেস্ব গাড়ী দিয়ে। গাজীপুর মহানগরের এক প্রভাবশালী নেতার পরিচয় দিয়ে সে যা ইচ্ছে তাই করছেন। এলাকায় জমি দখল, টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজি, মাদক নিয়ন্ত্রণ সহ সবকিছুই তার নিয়ন্তনে। প্রতি বছর কোরবানির গরুর হাটে দালালি ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে মোস্তফার রিরোদ্ধে গত বছর কোরবানির ঈদে বোর্ডবাজারে গরুর হাটে সাংবাদিকদের জন্য বরাদ্দের টাকা এবং ইজারাদারদের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ইজারাদারদের তোপের মুখে পড়েন মোস্তফা কামাল খান। অবশেষে সেই গরুর হাট থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ায় রক্ষা পান সে। আর সেই থেকেই মোস্তফা কামাল খান হয়ে যান দৌড়মোস্তফা। আর এই দৌড় মোস্তফার কুকর্মে কথা বলে শেষ করা যাবে না,গত ৪ মাস আগে দু”ভাই মিলে তার জন্মদাতা ”মা” কে বাড়ী থেকে বেরকরে দেন। কথিত আছে মুস্তফা কামাল খানের বাবা ওয়াজখা নিজ গ্রামে দফেদার নামে একব্যক্তি মারাযান, তার জানাজার মাঠে গিয়ে ঐ মৃত ব্যক্তির নিকট ১০ হাজার টাকা পাবে বলে দাবি করেন এবং টাকা না দিয়ে কবর দেওয়া হবেনা বলে সে জানায়। সেখানে উপস্থিত এলাকা বাসী তার পাওনা টাকা পাইলে পড়ে দিবো বলে জানিয়ে জানাজা দেয়। পরে এলাকা বাসী তদস্ত করে দেখতে পায় যে আসলেই মৃত ব্যক্তির নিকট সে কোন টাকা পায় না। সেই মিথ্যের জন্য সেদিন তাকে এলাকাবাসীর বিচারে রায় হয়, তাকে জুতার মালা পরে পুরো এলাকা ঘুরতে হবে । কথায় বলে, পাপ বাপকেও ছাড়ে না। সেটিই সত্যি হলো টাউট মোস্তফার ক্ষেত্রে। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে থানা এলাকায় একটি নির্মম হত্যাকান্ড হয় এবং রুপগঞ্জ থানায় মামলা হয়।সেই হত্যা মামলার আসামি মোস্তফা। গত রোববার বোর্ডবাজার তার প্রতিষ্ঠান ই আরই লাইব্রেরি থেকে নারায়ণগঞ্জ ডিবির তাকে গ্রেফতার করেন। তার গ্রেফতারের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এবং সকল মহল থেকে তার শাস্তির দাবি করা হয়। মোস্তফার মত প্রতারক যাতে আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে আসতে না পারে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের। Related Share on Facebook Share 0 Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share 0 Share on LinkedIn Share Share on Digg Share Print Print 0 Total Shares করোনা ভাইরাস সম্পর্কে যেকোনো পরামর্শ বা উপদেশের জন্য উল্লেখিত হটলাইনে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে : ৩৩৩, ০১৯৪৪৩৩৩২২২, ০১৪০১১৮৪৫৫১; ০১৪০১১৮৪৫৫৪; ০১৪০১১৮৪৫৫৫; ০১৪০১১৮৪৫৫৬; ০১৪০১১৮৪৫৫৯; ০১৪০১১৮৪৫৬০; ০১৪০১১৮৪৫৬৮; ০১৯২৭৭১১৭৮৫; ০১৯৩৭০০০০১১; ০১৯২৭৭১১৭৮৪ এবং ০১৯৩৭১০০১১।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বর হচ্ছে-১৬২৬৩।এ ছাড়া ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ই-মেইল বার্তা পাঠানো যাবে। ফেসবুক আইডি: Iedcr, COVID-19 Control Room, e-mail : iedcrcovid19@gmail.com