পর্দার আড়ালের সম্মুখ যুদ্ধা মেডিকেল টেকনোলজিস্টগন জাতীয় প্রচ্ছদ এপ্রিল ৩০, ২০২০এপ্রিল ৩০, ২০২০0 এম.এ.হালিম ছিদ্দিকী : আমাদের দেশে প্রচলিত স্বাস্হ্য ব্যাবস্হা বা স্বাস্হ্য খ্যাতে যারা স্বাস্হ সেবা নিশ্চিত করেন তাদের মধ্যে ডাক্তার,নার্সদের কথা আমাদের সকলেই জানা। কিন্তু স্বাস্হ্য সেবায় গুরুত্বপূর্ণ স্হান দখল করে আছে আমাদের দেশের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট । এদের কথা আমাদের অনেকের ই অজানা। আমরা সর্ব সাধারন জানিনা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট কারা এবং তাদের কি কাজ। এক জন ডাক্তার চিকিৎসা সেবা প্রধানের প্রথম যে ধাপ সেটি হল সঠিক রোগ নির্নয় করা। কারন রোগ যদি সঠিক ভাবে নির্নয় করতে ব্যর্থ হয় তাহলে রুগী চরম সমস্যায় পরতে হয় এমন কি ভূল ঔষধ প্রয়োগের ফলে কোন কোন সময় রুগীকে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু বরন ও করতে হয়। আর রোগ নির্নয়ের মত গুরুত্বপূর্ন কাজটি করে থাকেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট গন।পর্দার অাড়ালে থেকে রোগ নির্নয়ের কাজটি সততা ও নিষ্ঠার সাথে তারা পালন করছে দীর্ঘ্য দিন দরে। পর্দার আড়ালে থেকে স্বাস্হ্য সেবা প্রধান কারী এই শ্রেণিটির অনাদর আর অবহেলায় যেন তাদের ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। বৈশ্বিক মহামারিতে তৃতীয় বিশ্ব যখন মূখ থুবড়ে পরেছে, মৃত্যুপুরীতে রুপ নিয়েছে আমেরিকা,ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মান স্পেন সহ বিশ্বের পরাশক্তি দেশ সমূহ।এমন একটি আন্তর্জতিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ সহ সার বিশ্বে অতীব গুরুত্ববহ কোভিড -১৯ সনাক্তকরণের কাজটি কিন্তুু এই মেডিকেল টেকনোলজিস্টরাই করছেন। WHO তথ্য মতে একজন ডাক্তারের বীপরিতে ৫ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রয়োজন।প্রক্ষন্তরে বাংলাদেশের চিত্রহলো পুরো ভিন্ন যেখানে এক জন মেডিকেল টেকনোলজিস্টের বিপরীতে ৫ জন ডাক্তার। বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের রোগ নির্নয়ের সেবা প্রদানের কাজে নিয়োজি আছেন ৪ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। সর্বশেষ নিয়োগ হয়েছিল ২০০৮ সালে । চাহিদা বা পদ খালি থাকলেও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বা স্বাস্হ্য সেবার অতীব প্রয়োজনীয় এই পদে আর কোন নিয়োগ নেই। তারপর সরকার এক বার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলেও আলোর মুখ দেখনি আইনি জটিলতার কারনে। এতো বললাম চাহিদার তুলনা অপ্রতুলতার কথা এবার বলছি মডিকেল টেকনোলজিস্টদের অবহেলার কথা। দীর্ঘদিন যাবৎ নার্স এবং মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সমমর্যদায় থাকলেও হঠাৎ করেই নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করেন।এই সরকারের তৎকালীন স্বাস্হ্য মন্ত্রী আ,ফ,ম,রুহুল সাহেব। নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেনীতে উন্নীত করেছেন তাতে আপত্তি নেই, আপত্তি হল স্বাস্হ্য সেবার অতীব গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের কেন দ্বিতীয় শ্রনীতে উন্নীত করা হল না।এতে বুঝা যায় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সরকারের চরম অবহেলায় স্বীকার। শুধু তাই বিশ্ব ব্যাপী চলমান সংকট নোভেল করোনায় আমাদের দেশেও স্বাস্হ্য সেবায় ধ্বস নেমেছে স্বয়ং প্রধান মন্ত্রী ডাক্তারদের স্বাস্হ্য সেবা সুনিশ্চিত করার জন্য বিশদঘার করেছেন।তখনো অবচেতন মনে বউ বাচ্চা সংসার রেখে পর্দার অাড়ালে থেকে আর্তমানবতার সেবা করে যাচ্চেন একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট যার উজ্জল দৃষ্টান্ত পটুয়াখালি মেডিকেল কলেজের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বিভুতি ভূষন হালদার।এতো গেল একজন বিভুতি ভূষনের কথা এভাবে নিজের জীবন কে বাজি রেখে ল্যাবে কাজ করে চলেছেন চার হাজার বিভুতি ভূষন হালদার।সরকার যেন সদয় হন অবেহেলি পর্দার আড়ালের বিভুতি ভূষন হালদারদের প্রতি। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সমিতির এক নেতা লাইভ নিউজ কে জানান, তাদের প্রতি সরকারের বিমাতা সুলভ অাচরনে তারা চরমভবে ব্যথিত।এমন কি জাতির এই ক্রান্তিকালে চাহিদার অনুপাতে অপ্রতুল মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দিয়ে স্বাস্হ্য হুমকির সম্মুখীন। তাই জরুরী ভিত্তিক স্হায়ী নিয়োগের দাবি জানান,তিনি অারও বলেন আমরা গতকালকে ডিজি হেল্থ কে স্মারক লিপির মাধ্যমে জানিয়েছি, আউট সোর্সিং নয় স্হায়ী ভিত্তিক নিয়োগ ই তাদের দাবি। তিনি লাইভ নিউজ আরও জানান, অতি দ্রুততার সাথে যেন মেডিকেল টেকনোলজিস্টদেরকে দ্বিতীয় শ্রেনীর মর্যাদা প্রদান করা হয়।সেই সাথে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের প্রতি বেতন সকল প্রকার বৈশম্য দূরকরে স্বাস্হ্য সেবীদের মধ্যে সমতা ফিরিয়ে আনা হোক। তিনি লাইভ নিউজের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন,জাতির এই সংকটে তাদের অবদানকে যেন যথাযথ মূল্যায়ন করেন। পর্দার অাড়ালে থাকা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রতি আর কোন বৈষম্য নয় সমতা যেন ফিরিয়ে দেওয়া হয়। Related Share on Facebook Share 0 Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share 0 Share on LinkedIn Share Share on Digg Share Print Print 0 Total Shares করোনা ভাইরাস সম্পর্কে যেকোনো পরামর্শ বা উপদেশের জন্য উল্লেখিত হটলাইনে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে : ৩৩৩, ০১৯৪৪৩৩৩২২২, ০১৪০১১৮৪৫৫১; ০১৪০১১৮৪৫৫৪; ০১৪০১১৮৪৫৫৫; ০১৪০১১৮৪৫৫৬; ০১৪০১১৮৪৫৫৯; ০১৪০১১৮৪৫৬০; ০১৪০১১৮৪৫৬৮; ০১৯২৭৭১১৭৮৫; ০১৯৩৭০০০০১১; ০১৯২৭৭১১৭৮৪ এবং ০১৯৩৭১০০১১।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বর হচ্ছে-১৬২৬৩।এ ছাড়া ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ই-মেইল বার্তা পাঠানো যাবে। ফেসবুক আইডি: Iedcr, COVID-19 Control Room, e-mail : iedcrcovid19@gmail.com