নাটোরের গুর“দাসপুরে এক স্কুল শিক্ষিকাকে কুপিয়ে হত্যা জেলার খবর দূরনীতি ও অপরাধ প্রচ্ছদ জুলাই ২৪, ২০১৯জুলাই ২৪, ২০১৯0 এস,এম ইসাহক আলী রাজু, নাটোর : নাটোরের গুর“দাসপুর উপজেলার বৃ-কাশো সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা লতিফা হেলেন মঞ্জু (৩৫)কে নির্মমভাবে কুপিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুবৃত্তরা। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নাজিরপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুরে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ মঙ্গলবার রাতেই লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত শিক্ষক লতিফা হেলেনের বৃদ্ধা মা মনোয়ারা বেওয়া বাদি হয়ে গুর“দাসপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে এঘটনায় কেউ গ্রেফপ্তার হয়নি। মায়ের মৃত্যুতে বিলাপ করে কাঁদছেন কন্যা মিতু। মিতু (১৫) জানান, তার মায়ের সাথে কারো শত্রুতা ছিলোনা। বিদ্যালয়ের সবচেয়ে পরিশ্রমী শিক্ষিকা ছিলেন তার মা। তবে বিদ্যালয়ে কোন ঘটনা ঘটলে বাড়িতে বলতেন না। তবে স্বামী পরিত্যাক্তা হয়েও তিনি নিজের যোগ্যতায় শিক্ষক হয়েছেন। এসব বিষয় নিয়ে তার মাকে প্রতিবেশি কিছু লোকজন প্রায়ই কটুক্তি করতেন। নিহত শিক্ষক লতিফা হেলেনের মা মনোয়ারা বেওয়া জানান, মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে মেয়েকে একা রেখে তিনি জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠকে একই গ্রামের তার ভাইয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেসময় হেলেন ঘরের মেঝেতে বসে ভোটার তালিকার কাজ করছিলেন। এর পর পরই মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় বাড়ি ফিরতে দেরি হয়। যখন বাড়ি ফিরেন তখন দেখেন তার মেয়েটি ঘরে নেই। দরজার পাশে ছোপ ছোপ রক্ত লেগে আছে। এসময় তিনি লোকজন নিয়ে খোঁজাখুঁজি শুর“ করেন। একপর্যায়ে বাড়ির পাশের পুকুরে বিবস্ত্র অবস্থায় মেয়ের লাশ পান। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান- ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ২০ বছর আগে একই গ্রামের মুনছের আলীর ছেলে মোমিন আলীর সাথে হেলেনের বিয়ে হয়। সেখানে মিতু নামের একটি কন্যা সন্তান হয়। এর পরপরই মোমিন আলীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তার। বিচ্ছেদের পর হেলেন আর দ্বিতীয় সম্পর্ক জড়াননি। কষ্ট করে লেখা-পড়া শেষ করে ২০১০ সালে স্থানীয় বৃ-কাশো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসাবে চাকরিতে যোগদান করেন। ওই চাকরির টাকায় সংসার চলতো। বৃ-কাশো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন জানান- তার বিদ্যালয়ের চার শিক্ষকের মধ্যে হেলেন ছিলেন খুব মেধাবি শিক্ষক। শিক্ষার্থীদের খুব পছন্দের ছিলেন তিনি। কারো সাথে শত্রুতা দেখেননি তিনি। গুর“দাসপুর থানার ভার্প্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাহার“ল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার মোটিভ ও হত্যাকারী সনাক্তের চেষ্টা চলছে। Related Share on Facebook Share 0 Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share 0 Share on LinkedIn Share Share on Digg Share Print Print 0 Total Shares করোনা ভাইরাস সম্পর্কে যেকোনো পরামর্শ বা উপদেশের জন্য উল্লেখিত হটলাইনে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে : ৩৩৩, ০১৯৪৪৩৩৩২২২, ০১৪০১১৮৪৫৫১; ০১৪০১১৮৪৫৫৪; ০১৪০১১৮৪৫৫৫; ০১৪০১১৮৪৫৫৬; ০১৪০১১৮৪৫৫৯; ০১৪০১১৮৪৫৬০; ০১৪০১১৮৪৫৬৮; ০১৯২৭৭১১৭৮৫; ০১৯৩৭০০০০১১; ০১৯২৭৭১১৭৮৪ এবং ০১৯৩৭১০০১১।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বর হচ্ছে-১৬২৬৩।এ ছাড়া ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ই-মেইল বার্তা পাঠানো যাবে। ফেসবুক আইডি: Iedcr, COVID-19 Control Room, e-mail : iedcrcovid19@gmail.com