নওগাঁর আত্রাইয়ে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এখন গোয়াল ঘরে পরিনত। জাতীয় জেলার খবর দূরনীতি ও অপরাধ প্রচ্ছদ শিক্ষাঙ্গন সারা বাংলা জুলাই ২৪, ২০১৭0 একেএম কামালউদ্দিন টগর,নওগাঁ প্রতিনিধিঃ- নওগাঁর আত্রাইয়ে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এখন গোয়াল ঘরে পরিনত হয়েছে। সরকারের অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে যেখানে একটি র্দশ্যমান ভবন তৈরি করা হলেও ভবনটি এখন পাঠশালার পরিবর্তে ঐ গ্রাম বাসির খড়িঘর ও গরু-ছাগল রাখার গোয়ার ঘরে পরিনত হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ এখানে কোন শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীরা এ বিদ্যালয়ে যায় না। ফলে অঘোষিত ভাবে দীর্ঘদিন থেকে ব›ন্ধ রয়েছে এ বিদ্যালয় ভবনটি। উপজেলার বিশা ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গ্রাম। সেই গ্রামের নাম তেজনন্দী। যে গ্রামে প্রায় সাড়ে চার হাজার লোকের বাস। এখানে নেই কোন প্রাথমিক বিদ্যালয়, নেই কোন হাই স্কুল,নেই কোন মাদ্রাসা। এ গ্রামে দুই শতাধিক শিশুরা প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গুড়নদী (আত্রাই) নদী পারি দিয়ে তাদের যেতে হয় বৈঠাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অথবা ২ কিলোমিটার মেঠো পথ অতিক্রম করে যেতে হয় সমসপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় না হয় যেতে হয় শ্রী ধরগুড়নই মাদ্রাসায়। গ্রামের শিশুদের এ দূর্দশা লাঘবে ১৯৯০ সালের দিকে ওই গ্রামের মোশারফ হোসেন,ফয়েজ উদ্দিন ,রনজিৎ কুমার সরকার ও নাজমা বেগম একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য নিজস্ব অর্থায়নে বিদ্যালয়ের নামে ৩৩শতক জমি ক্রয় করে চাটাইয়ের বেড়া ও টিনের ছাউনি দিয়ে স্কুল ঘর নির্মাণ করে গ্রামের শিক্ষিত বেকার যুবকরা বিনা বেতনে(বিনা পয়সায়) পাঠ দান শুরু করেন। তারা ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিনা বেতনে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে আসেন। এরই এক পর্যায়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঘরগুলো বিধস্ত হলে অর্থাভাবে এটি আর সংস্কার করতে না পারায় সেখানে পাঠ দান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে বর্তমান সরকার ২০১২ সালে বিদ্যালয় বিহীন এরাকায় ১৫০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের একটি প্রকল্প গ্রহন করেন। সে প্রকল্পের আওতায় ২০১৩ সালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মোল্লার প্রচেষ্টায় ও স্থানীয় সাংসদ ইসরাফিল আলমের সহযোগীতায় প্রায় ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে তেজনন্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি দৃশ্যমান ভবন নির্মাণ করা হয়। ভবন নির্মাণ করা হলেও সেখানে কোন শিক্ষক নিয়োগ না দেয়ায় বর্তমানে সেটি এখন গোয়াল ঘরে পরিনত হয়েছে। এ বিষয়ে ঐ গ্রামের মোঃ বাবু বলেন, এত সুন্দর ভবন থাকলেও শিক্ষক না থাকায় আমাদের শিশুদেরকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হয়ে বৈঠাখালী স্কুলে যেতে হয়। প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক রনজিত কুমার সরকার বলেন, আমরা চেষ্টা করেছিলাম বিদ্যালয়টি চালু রাখতে কিন্তু ভবন হওয়ার পর আমাদেরকে শিক্ষকতার আর সুযোগ দেয়া হয় নাই। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রোখছানা আনিছা সাংবাদিককে জানান, আমি নতুন যোগদান করেছি। বিদ্যালয়টি এভাবে পরিত্যক্ত এটি আমার জানা ছিল না। অবশ্যই আমি এ ব্যাপারে উপর মহলে লিখব এবং দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়টি পূনঃ চালুর চেষ্টা করবো। Related Share on Facebook Share 0 Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share 0 Share on LinkedIn Share Share on Digg Share Print Print 0 Total Shares করোনা ভাইরাস সম্পর্কে যেকোনো পরামর্শ বা উপদেশের জন্য উল্লেখিত হটলাইনে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে : ৩৩৩, ০১৯৪৪৩৩৩২২২, ০১৪০১১৮৪৫৫১; ০১৪০১১৮৪৫৫৪; ০১৪০১১৮৪৫৫৫; ০১৪০১১৮৪৫৫৬; ০১৪০১১৮৪৫৫৯; ০১৪০১১৮৪৫৬০; ০১৪০১১৮৪৫৬৮; ০১৯২৭৭১১৭৮৫; ০১৯৩৭০০০০১১; ০১৯২৭৭১১৭৮৪ এবং ০১৯৩৭১০০১১।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বর হচ্ছে-১৬২৬৩।এ ছাড়া ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ই-মেইল বার্তা পাঠানো যাবে। ফেসবুক আইডি: Iedcr, COVID-19 Control Room, e-mail : iedcrcovid19@gmail.com