
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ ও সহায়তাকারীর সুরক্ষা প্রদান নীতিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে ওই গেজেট করতে স্বাস্থ্য সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এই রায় দেন।
২০১৮ সালের করা ওই নীতিমালার দুটি অংশে পর্যবেক্ষণ দিয়ে উচ্চ আদালত তা নীতিমালায় সংযুক্ত করতেও বলেছেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রাশনা ইমাম, আনিতা গাজী রহমান ও শারমিন আক্তার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।
রায়ের পর আইনজীবী রাশনা ইমাম লাইভ নিউজ বিডিকে জানান, নতুন কোনো আইন না হওয়া পর্যন্ত এ নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করত হবে। আগামী দুই মাসের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করার জন্য বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘নীতিমালার আলোকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশের সরকারি–বেসরকারি সকল হাসপাতালকে চিকিৎসার প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ সালে করা ওই নীতিমালায় দুটি অংশে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট, যা নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট আকারে প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।’
এর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না,তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছিল। রুলের ওপর শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেন। ২০১৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি গুরুতর আহত ব্যক্তিদের জরুরি চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য দেশের সব হাসপাতালকে নির্দেশ দিয়ে রুল দেন হাইকোর্ট।
মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) ও সৈয়দ সাইফুদ্দিন কামাল নামের এক ব্যক্তি জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করেন। রিটের ওপর শুনানি চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করা হয়।