গাজীপুরে ভবন মালিকের প্রতারণা জেলার খবর দূরনীতি ও অপরাধ প্রচ্ছদ এপ্রিল ১৫, ২০২১0 সাইফুল্লাহ, গাজীপুর : গাজীপুরের মাইশা মনীশা নীটওয়্যারর্স লিমিটেড কর্তৃপক্ষের অভিযোগের জবাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করলেন ভাড়াটিয়া পক্ষ। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় গাজীপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ভাড়াটিয়া পক্ষ টেক্স-ডিজাইন নীট ওয়্যার লিমিটেড এর পরিচালক মোঃ রুহুল আমীন লিখিত বক্তব্যে বলেন, অগ্রিম জামানত বাবদ পাওনা ৩৩ লক্ষ টাকা না দিয়ে নানাভাবে হয়রানী করে চলেছেন মাইশা মনীশা নীট ওয়্যার লিমিটেড এর মালিক কে বি এম ওবায়েদ। গত ১১ এপ্রিল অসত্য তথ্য ও বক্তব্য দিয়ে উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে আমাদের সম্মান ও মর্যাদাহানী করার জন্য সংবাদ সম্মেলন করেন মাইশা মনীশা নীটওয়্যারর্স লিমিটেড ভবন মালিক পক্ষ। এ প্রেক্ষিত পরদিন ১২ এপ্রিল ‘কারখানা মালিককে পথে বসিয়ে ভাড়াটিয়া লাপাত্তা” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। ওই সংবাদ সম্মেলনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ১লা এপ্রিল ২০১৮ ইং তারিখ হতে মাইশা মনীশা নীট ওয়্যার লিমিটেড, ভোগড়া বাজার, গাজীপুর ঠিকানার বাড়িটি ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে উভয় পক্ষের সম্মতিতে ৪টি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। এর আলোকে সর্বমোট ৮৫ লক্ষ ২০ বিশ হাজার টাকা প্রদান করা হয় ভবন মালিককে। এর মধ্যে অগ্রীম বাবদ মোট ৭০ লক্ষ টাকা, মাসিক ভাড়া বাবদ ১১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা এবং লোন হিসাবে ৪ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয় চুক্তির শর্ত মতো ব্যাংক হিসাবে। মাসিক ভাড়া বাবদ ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নির্ধারণ পূর্বক চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। পরবতর্ীতে মাইশা মনীশা নীট ওয়্যার লিমিটেড এর মালিক কে বি এম ওবায়েদ, তাঁর স্ত্রী ও কন্যা কতর্ৃক বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ঝামেলা ও হয়রানী করে ব্যবসায়িক ক্ষতি সাধন করেন। ২০১৯ সালের ২৪ জুন থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত চার মাস বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখেন। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার দরুন টেক্স-ডিজাইন নীট ওয়্যার লিমিটেড এর শ্রমিক ও স্টাফদের বেতন বাবদ ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ভতুর্কী হয়েছে। কে বি এম ওবায়েদ গত ২০ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে টেক্স-ডিজাইন নীট ওয়্যার লিমিটেড এর চেয়ারম্যান ও পরিচালক এর নামে গাজীপুর সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা (৪৬০/২০১৯) করেন। সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক এর নিকট ৮ কোটি টাকা ঋণখেলাপী মাইশা মনীশা নীট ওয়্যার লিমিটেড কতর্ৃপক্ষ। এর মধ্যে কারখানা ভাড়া নেওয়ার পর বিল্ডিং নির্মাণ, ইলেকট্রিক ওয়্যারিং ইত্যাদি পুনরায় সংস্কার করার জন্য টেক্স-ডিজাইন নীট ওয়্যার লিমিটেড নিজস্ব তহবিল থেকে ১ কোটি টাকা খরচ করেছে। সবকিছু মিলিয়ে এ পর্যন্ত টেক্স-ডিজাইন নীট ওয়্যার লিমিটেড এর প্রায় ৬ কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে অগ্রিম জামানত বাবদ পাওনা ৩৩ লক্ষ টাকা দিয়ে নানাভাবে হয়রানী করে চলেছেন মালিক পক্ষ। ধারাবাহিকতায় বানোয়াট অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন। কারখানার মালামাল নিয়ে আমরা লাপাত্তা হয়ে গেছি বলে অসত্য অভিযোগ করেন। অথচ তাঁর কোন মেশিনপত্র কখনোই আমাদের বুঝিয়ে দেননি। আমাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে সমুদয় কাগজপত্র সংযুক্ত করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকা চার মাসের ভাড়া বাদ দিয়ে মোট ৩৩ মাসের মধ্যে ২৯ মাসের ভাড়ার টাকা কেটে নিলে টেক্স-ডিজাইন নীট ওয়্যার লিমিটেড এর অগ্রীম জামানত বাবদ পাওনা থাকে ৩৩ লক্ষ টাকা। অগ্রীম বাবদ পাওনা ৩৩ লক্ষ টাকা বুঝে পাওয়ার পর দখল ছেড়ে দিব মর্মে মাইশা মনীশা নীট ওয়্যার লিমিটেড কর্তৃপক্ষকে নোটিশও প্রদান করা হয়। এই প্রেক্ষাপটে গত ১১ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে Related Share on Facebook Share 0 Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share 0 Share on LinkedIn Share Share on Digg Share Print Print 0 Total Shares করোনা ভাইরাস সম্পর্কে যেকোনো পরামর্শ বা উপদেশের জন্য উল্লেখিত হটলাইনে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে : ৩৩৩, ০১৯৪৪৩৩৩২২২, ০১৪০১১৮৪৫৫১; ০১৪০১১৮৪৫৫৪; ০১৪০১১৮৪৫৫৫; ০১৪০১১৮৪৫৫৬; ০১৪০১১৮৪৫৫৯; ০১৪০১১৮৪৫৬০; ০১৪০১১৮৪৫৬৮; ০১৯২৭৭১১৭৮৫; ০১৯৩৭০০০০১১; ০১৯২৭৭১১৭৮৪ এবং ০১৯৩৭১০০১১।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বর হচ্ছে-১৬২৬৩।এ ছাড়া ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ই-মেইল বার্তা পাঠানো যাবে। ফেসবুক আইডি: Iedcr, COVID-19 Control Room, e-mail : iedcrcovid19@gmail.com