
গাজীপুর প্রতিনিধি :
গাজীপুর মহানগর ও জেলাকে দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ বলা হয়। গাজীপুরে সবসময় আওয়ামীলীগ এর অবস্থান ভাল ভোটের দিকেও প্রভাব বিস্তার ও দিন দিন আওয়ামীলীগের ভিতর গ্রুপ উপগ্রুপের কোন্দল বেড়েই চলেছে। কখনো কখনো এই কোন্দল প্রকাশ্যে দাঙ্গা হাঙ্গামায় রুপ নেয়। কিছু দিন আগে জয়দেবপুর থানা আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি প্রার্থী বীর মুক্তিযুদ্ধার সন্তান সাইফুল্লাহ শাওনকে হত্যার উদ্দেশ্যে কয়েক রাউন্ড গুলি করে শাওনকে লক্ষ্য করে। জনবহুল এলাকা পৌর মার্কেটের সামনে হওয়ার কারণে শাওন প্রাণে বেঁচে যায়। শাওন বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ গ্রুপের কয়েকজনকে আসামী করে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। সন্ত্রাসী সাইফ নামে একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করলে কোর্ট একদিনের রিমান্ড মন্জুর করেন। প্রতিপক্ষ গ্রুপ কোনঠাসা হয়ে পড়েন। প্রতিপক্ষ গ্রুপ শাওনকে কোনভাবেই কোনঠাসা করতে পারছিল না। কারণ শাওনের পক্ষে ব্যাপক জনমত শহরে। শাওন ছোটবেলা থেকেই মহানগর ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাসুদ রানা এরশাদ এর সাথে রাজনীতি করে আর দ্বিতীয় কারণ হল শাওনের বাবা বীরমুক্তিযুদ্ধা শহীদুল্লাহ বাচ্চু স্বাধীনতার পর থেকে খুব জনপ্রিয় ব্যাক্তি ছিলেন। প্রতিপক্ষ গ্রুপ শাওনকে কোনঠাসা করতে শহরের চিহিত ছিনতাইকারী ও অস্ত্র ব্যবসায়ী নাদিমকে ব্যবহার করে। রাজবাড়ীর সামনে দিয়ে শাওন যাওয়ার সময় নাদিম নিজেই পুলিশকে বলতে থাকে শাওন ভাই এর কাছে পিস্তল আছে। আমাকে পিস্তল ঠেকিয়ে ২০ হাজার টাকা আর আইফোন নিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ অনেক সময় পরে শাওনের অটোরিক্সা পিছনে পিছনে আসতে থাকে নাদিমের হোন্ডা দিয়ে শাওন তখন এরশাদ এর বাসায় যাচ্ছিল। কিছু সময় পর নাদিম স্টেডিয়াম এর পাশে নিয়ে যায় বলে শাওন ভাই এখানে মনে হয় পিস্তল ফেলে গেছে।অনুসন্ধানে জানা যায়, শাওন ওই দিন আটোরিক্স থেকেই নামে নাই। কোন দোকানদার স্টেডিয়ামের পিছনে শাওনকে দেখে নাই। নাদিম আগে থেকে স্টেডিয়াম এর পিছন দিয়ে ঘুরাঘুরি করতে ছিল। প্রতিপক্ষ গ্রুপের ইশারায় নাদিমকে দিয়ে স্টেডিয়াম এর পিছনে আগেই নাদিমের ফেলে রাখা পিস্তাল পুলিশ উদ্ধার করে। শাওনের নামে মিথ্যামামলা দিয়ে শাওনকে কোনঠাসা করার অপচেষ্টা করে আসছে নাহিদ , হাফিজ গং। বিভিন্ন সুত্রে জানা যায় কোনভাবেই শাওনকে কোনঠাসা করা যাচ্ছিল না। তার কারণ শাওন অনেক মেধাবী আর দুঃসাহসী।