এবার পেটিয়া’র সাইবার হামলা আন্তর্জাতিক তথ্য প্রযুক্তি দূরনীতি ও অপরাধ প্রচ্ছদ জুন ২৮, ২০১৭জুন ২৮, ২০১৭0 তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী আবারও বড় ধরনের সাইবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা মঙ্গলবার এই হামলার শিকার হয়েছে। চলতি বছরের মে মাসে একযোগে ৭৪টি দেশে সাইবার হামলার ঘটনার পর এটাই সবচেয়ে বড় হামলা। এবারও ওয়ানাক্রাই র্যানসমওয়্যার দিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে। এরই মধ্যে ইউরোপসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশে পেটিয়া নামের র্যানসমওয়্যার সাইবার হামলা চালাতে পারে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে সুইজারল্যাণ্ডের সরকারি তথ্য-প্রযুক্তি অ্যাজেন্সি। পেটিয়া নামের ওই র্যানসমওয়্যার ভারতের ওয়েবসাইটেও হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার হামলার শিকার হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞাপনী সংস্থা ডব্লিউপিপি। র্যানসমওয়্যারের মাধ্যমে হামলার শিকার হয়ে প্রতিষ্ঠানের পুরো আইটি সিস্টেম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ইউক্রেনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই হামলার শিকার হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি ও রাজধানী কিয়েভের প্রধান বিমানবন্দরও হামলার মুখে পড়েছে। তারাই মূলত হামলার বিষয়টি প্রথম প্রকাশ করেছে। এই হামলার কারণে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমভিত্তিক সেন্সরগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা ম্যানুয়ালি পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে। ইউক্রেনে এই হামলার শিকার হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক, উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আনতোনভ ও দু’টি ডাকসেবা রয়েছে। এর আগে র্যানস্যামওয়ার সাইবার হামলা চালিয়ে অন্যের কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তিনশ থেকে শুরু করে ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানভেদে আলাদা আলাদা পরিমাণ বিট কয়েন দাবি করেছিল। ভাইরাসটির ফলে কম্পিউটারে থাকা সমস্ত ডিজিটাল ফাইল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অন্যের কাছে চলে যাবে সেই কম্পিউটারের অ্যাক্সেস। এরই মধ্যে আঘাত হানা পেটিয়া তিনশ ডলার দাবি করেছে। দাবি পূরণ না হলে লক হয়ে গেছে ফাইল। এক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহারকারীর সামনে দুটি পথ খোলা থাকে। হয় তাদের কাছে বিটকয়েন দেয়া নতুবা অ্যাক্সেস হারানো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্ষতিগ্রস্ত কম্পিউটার থেকে পুনরায় তথ্য ফিরে পাওয়া অনেকটাই কঠিন। এতে করে অনেক সংস্থাই বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, র্যানসমওয়্যার দিয়ে (ওয়ানাক্রাই বা আরও একাধিক নামে পরিচিত) কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। র্যানসমওয়্যার হচ্ছে পরিচিত ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার প্রোগ্রাম। কম্পিউটার বা মুঠোফোনের মতো যন্ত্রের মধ্যে এই সফটওয়্যার ঢুকিয়ে দিতে পারলে যন্ত্রটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়া যায়। এ কাজ করে তা থেকে মুক্তির জন্য অর্থ দাবি করে থাকেন হ্যাকাররা। Related Share on Facebook Share 0 Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share 0 Share on LinkedIn Share Share on Digg Share Print Print 0 Total Shares করোনা ভাইরাস সম্পর্কে যেকোনো পরামর্শ বা উপদেশের জন্য উল্লেখিত হটলাইনে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে : ৩৩৩, ০১৯৪৪৩৩৩২২২, ০১৪০১১৮৪৫৫১; ০১৪০১১৮৪৫৫৪; ০১৪০১১৮৪৫৫৫; ০১৪০১১৮৪৫৫৬; ০১৪০১১৮৪৫৫৯; ০১৪০১১৮৪৫৬০; ০১৪০১১৮৪৫৬৮; ০১৯২৭৭১১৭৮৫; ০১৯৩৭০০০০১১; ০১৯২৭৭১১৭৮৪ এবং ০১৯৩৭১০০১১।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বর হচ্ছে-১৬২৬৩।এ ছাড়া ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ই-মেইল বার্তা পাঠানো যাবে। ফেসবুক আইডি: Iedcr, COVID-19 Control Room, e-mail : iedcrcovid19@gmail.com