আইসিটি আইনে সাংবাদিক গ্রেপ্তারের সংখ্যা নগণ্য: তথ্যমন্ত্রী প্রচ্ছদ রাজনীতি সারা বাংলা জুলাই ১৩, ২০১৭জুলাই ১৪, ২০১৭1 নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনে অনেক সাংবাদিক নিগৃহীত হচ্ছেন, এটা ঠিক নয়। দেশে সাংবাদিকের সংখ্যার তুলনায় এই আইনের ৫৭ ধারায় খুবই কমসংখ্যক সাংবাদিক গ্রেপ্তার হয়েছেন। আজ বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির ফজলুর রহমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি আইন সাংবাদিকদের জন্য করা হয়নি। সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা, নারীর সম্মান, শিশুর নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্র ও ধর্মের পবিত্রতা রক্ষাসহ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের আচার–অনুষ্ঠানে নিরাপত্তাবিধানের জন্য এ আইনটি করা হয়েছে। হাসানুল হক ইনু বলেন, বাংলাদেশে ২ হাজার ৮০০–এর বেশি পত্রপত্রিকা এবং ১ হাজার ৮০০টির বেশি অনলাইন পোর্টাল চলছে। সেদিক থেকে খুবই নগণ্য, দু-একজন সাংবাদিক এ আইনে গ্রেপ্তার হয়েছেন। আর গ্রেপ্তার হওয়া সবাই আদালতে যাওয়ার পর জামিন পেয়েছেন। তিনি বলেন, এই আইনের ৫৭ ও ৫৬ ধারা সাধারণ দণ্ডবিধি। বর্তমান সরকার যাত্রা শুরু করার আগে থেকেই এ আইনটি করা হয়েছিল। তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট তৈরির চেষ্টা করছে। সেই আইনটি আসার পরে আইনমন্ত্রী ও সরকার বিচার–বিশ্লেষণ করে দেখবে ৫৭ ধারা বা এই আইনটি রাখার দরকার আছে কি না। তবে এ আইনটি মানবাধিকারবিরোধী বলে তিনি মনে করেন না। হাসানুল হক ইনু বলেন, ডিজিটালাইজেশনের ফলে গণমাধ্যমের প্রসার ও বিকাশ ঘটেছে। তথ্য যোগাযোগপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে স্পেস তৈরি হয়েছে। সেখানে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রয়োগ করে যদি কেউ চরিত্রহনন করে, কারও নিন্দা করে, মিথ্যাচার করে, বিশৃঙ্খলা তৈরি করে ধর্মীয় বিভাজন বা বিদ্বেষ তৈরি করে, সেখানে এই আইনটি প্রয়োগ হয়। অর্থাৎ কেউ যদি অনলাইন বা সামাজিক গণমাধ্যমে এ রকম কাজে লিপ্ত হয়, তার ক্ষেত্রে এ আইনটি প্রয়োগ করা হয়। এটা সাংবাদিকদের জন্য প্রয়োগ হয়, এটা ঠিক নয়। এ আইনটি করা হয়েছে ১৬ কোটি মানুষের জন্য। যেকোনো নাগরিক সামাজিক গণমাধ্যম যেমন ফেসবুক, টুইটার—এসব জায়গায় যদি সে চরিত্রহনন করে পোস্ট দেয়, তাহলে এ আইনের আওতায় আসবে। মন্ত্রী বলেন, ৫৭ ধারায় মামলা জামিন অযোগ্য তথ্যটি সঠিক নয়। এই আইনে যাঁরা গ্রেপ্তার হন, তারা একটি পর্যায়ে জামিন পান। নিম্ন আদালতে জামিন পান না, উচ্চ আদালতে জামিন পান। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে এ আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি ঘটনা খতিয়ে দেখা হয়েছে। কোনো জায়গায় এ আইনের বরখেলাপ বা হয়রানির ব্যাপার হলে তথ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হস্তক্ষেপ করে। আর কোনো মিথ্যাচার হয়ে থাকলে বিচারকেরাও সেটা দেখে জামিন দেন। Related Share on Facebook Share 0 Share on TwitterTweet Share on Pinterest Share 0 Share on LinkedIn Share Share on Digg Share Print Print 0 Total Shares করোনা ভাইরাস সম্পর্কে যেকোনো পরামর্শ বা উপদেশের জন্য উল্লেখিত হটলাইনে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে : ৩৩৩, ০১৯৪৪৩৩৩২২২, ০১৪০১১৮৪৫৫১; ০১৪০১১৮৪৫৫৪; ০১৪০১১৮৪৫৫৫; ০১৪০১১৮৪৫৫৬; ০১৪০১১৮৪৫৫৯; ০১৪০১১৮৪৫৬০; ০১৪০১১৮৪৫৬৮; ০১৯২৭৭১১৭৮৫; ০১৯৩৭০০০০১১; ০১৯২৭৭১১৭৮৪ এবং ০১৯৩৭১০০১১।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বর হচ্ছে-১৬২৬৩।এ ছাড়া ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ই-মেইল বার্তা পাঠানো যাবে। ফেসবুক আইডি: Iedcr, COVID-19 Control Room, e-mail : iedcrcovid19@gmail.com